পাশাপাশি মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছেও একটি অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের খাসেরডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মাখন লাল দাসের পুত্রবধূ ইতিরানী দাস তার অভিযোগে বলেন, তার স্বামী সঞ্জয় কুমার দাস দীর্ঘদিন ইউপি মেম্বর ও উত্তর চাঁদপাই মেছেরশাহ মাদ্রাসার শিক্ষক প্রণব কুমার মজুমদারের সাথে থাকতেন। কিন্তু গত দুই মাস ধরে তার কোনো খোঁজ না পাওয়ায় ওই মেম্বরের দ্বারস্থ হন তিনি। এরপর থেকেই তাকে ওই মেম্বর যৌন হয়রানি করে আসছে।তাতে সাড়া না দেওয়ায় তার বাড়িতে এসেও বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে মেম্বর প্রণব। গত ৭ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ টানা ১৯ দিন ওই নারীর মোবাইলে ফোন করে মেম্বর প্রণব কুমার দৈহিক মেলামেশা করার জন্য নানা ধরনের কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। সেসব কুপ্রস্তাবের কল রেকর্ড তার শ্বশুর মাখন লাল দাসকে শোনালে তিনি মেম্বরকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে শ্বশুরকে গুম ও আমাকে এসিড দগ্ধ করবে বলে হুমকি দেয়।এ ব্যাপারে মিঠাখালী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বর প্রণব কুমার মজুমদারের দাবী সব ষড়যন্ত্র ওই কল রেকর্ড এডিট করা।তবে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডল বলেন, কল রেকর্ড শুনেছি এটি মেম্বর প্রণবের কণ্ঠ। অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণভাবে তিনি যে কথা বলেছেন তা নিয়ে মন্তব্য করার ভাষা আমার নাই।মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মোংলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার বলেন, তিনি এই কল রেকর্ড শুনেছেন এবং লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে এরই মধ্যে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে এবং এ কমিটির প্রতিবেদন হাতে পেয়েই ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply