বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সৌদি আরবের পবিত্র মক্কায় অনুষ্ঠিত ‘৪২তম বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা’য় ১১১ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের ক্ষুদে হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরিম তৃতীয় স্থান অর্জন করে।
তাই বিশ্বজয়ী ক্ষুদে হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরিম দেশের মাঠিতে ফেরার খবরে বৃহস্পতিবার(২২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত (শুক্রবার) পৌনে ২ টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমান বন্দরে জড়ো হয় অসংখ্য কুরআনপ্রেমী মানুষ।
গভীর রাত সত্ত্বেও হাফেজ তাকরিমকে বরণ করে নেয়াকে কেন্দ্র করে হাজারো মানুষকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সক্রিয় দেয়া যায়। সরাসরি লাইভে এসে কিংবা তাকরিমের অভ্যর্থনার ছবি-ভিডিও পোস্ট করে অনলাইনে সক্রিয়রাও উষ্ণ সংবর্ধনা জানান তাকে।
শুধু তাই নয়; বরং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা ও ভালোবাসাও ছিল চোখে পড়ার মতো। হাফেজ তাকরিমের শিক্ষক ও সৌদিতে তার সফরসঙ্গী হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন ফেসবুকে একটি সংক্ষিপ্ত পোস্টে সেটিই উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘ভিআইপি লাউঞ্জে সকল কর্মকর্তাদের ভালোবাসায় সিক্ত’।
এর আগে তাকরিমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী মাদরাসা’র সিনিয়র শিক্ষক হাফেজ মাওলানা হোসাইন রাহমানী গভীর রাতে তার বিমানবন্দরে অবতরণের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। তবে তিনি জানান, অভ্যর্থনায় শুধুমাত্র মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও নির্দিষ্ট কয়েকজন শুভাকাঙ্ক্ষী উপস্থিত থাকবেন। গভীর রাত হওয়ায় মাদরাসার পক্ষ থেকে তিনি সাধারণ শুভাকাঙ্ক্ষীদের বিমানবন্দরে উপস্থিতিকে নিরুৎসাহিত করেন। কিন্তু এরপরও মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসায় মুগ্ধ হয় তাকরিম। বিশ্বজয়ী এ হাফেজকে এক নজর দেখতে বিমানবন্দরে ভিড় করেন অসংখ্য মানুষ।
বাংলাদেশ ধর্মমন্ত্রলায়ের পক্ষ থেকেও তাকরিমকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। বড় রকমের সংবর্ধনার ব্যাপারে তাকরিমের শিক্ষক মাওলানা হোসাইন রাহমানী বলেন, ‘বিশ্বজয়ী এ হাফেজকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে বহু কুরআনপ্রেমী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান আমাদের সাথে নানাভাবে যোগাযোগ করেছেন। আমরা তাদের আবেগকে পূর্ণ শ্রদ্ধা করি। এজন্য তাদের সংবর্ধনা প্রদানের জন্য ‘মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী মাদরাসা’ আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ‘বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে’র আয়োজন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আমরা ওই অনুষ্ঠানের সফলতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই’।
ক্ষুদে বিশ্বজয়ী হাফেজ সালেহ আহমাদের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার ভাদ্রা গ্রামে। তার বাবা হাফেজ আবদুর রহমান একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। মা গৃহিণী। সালেহ ঢাকার মারকাযু ফয়জিল কোরআন আল ইসলামি মাদ্রাসার ছাত্র।
Leave a Reply