নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুসহ দেশের বড়বড় উন্নয়নমূলক কাজ করে চলেছেন। সফলতাও অর্জন করছেন। দেশ যেভাবে উন্নয়নের দিকে এগিয়েছে সে তূলনায় এ অঞ্চলের তেমন কোন উন্নয়ন চোখে পরেনি। আমি যদি নৌকার মনোনয়ন পাই তবে কটিয়াদী-পাকুন্দিয়ার ব্যাপক উন্নয়ন করবো।
আগামী সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ ২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ হতে মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে সকলের কাছে দোয়া প্রর্থনা করেন।
তিনি বলেন ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। যার নির্দেশে আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলাম। কিন্তু তাকে ১৯৭৫ সালে ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় কোন মামলা রুজু করা সম্ভব হয়নি। এমন একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছিল। তার ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসে তখন এই মামলা রুজু করা হয়। আপনারা জানেন ২১ বছর ধরে এ মামলার যত রকমের স্বাক্ষ্য প্রমাণ ছিল আর যত আলামত ছিল সব ধ্বংস করে দেওয়া হয়। পরে সেই রুজুকৃত মামলাটি তদন্তভার আমার ঘারে পরে। আপনাদের সকলের দোয়ায় আমি এ মামলাটি নিরপেক্ষতার সাথে তদন্ত করি।
আপনারা জানেন, এ মামলায় ১২ জন আসামীর ফাঁসির আদেশ হয়েছিল এর মধ্যে ৯ জনের ফাঁসির আদেশ কার্যকর করা হয়। একই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে হত্যা করার জন্য ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেট হামলা চালানো হয়। আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে যান। কিন্তু উনার ২৪ জন নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়। একইভাবে সেই কোটালী পাড়ায় ৭৩ কেজি বোমা পেতে রাখা হয়েছিল। আল্লাহর রহমতে বোমা ফোটার আগেই তা ধরা পরে যাওয়ায় তিনি বেঁচে যান। এভাবে উনাকে ১৯ বার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলাটি ও অন্য দিকে ঘুরিয়ে নেওযার চেষ্টা করা হয়েছিল। সে মামলাটির তদন্তভারও আমার উপর দেওয়া হয়।মামলার আসল রহস্য উদঘাটন করা হয়।
এ মামলায় ১৯জন আসামীর ফাঁসির আদেশ হয়। আর ১৯ জনের অন্যান্য সাজা হয়। তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ সালে আমাদের ৪ মুক্তিযুদ্ধের নায়ক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজ উদ্দিন আহমেদ, কামরুজ্জামান এবং মুনসুর আলীকে জেল খানায় যেখানে প্রত্যেক মানুষ নিরাপদ থাকার কথা সেখানে তাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সেই মামলাটির তদন্তভারও আমার ঘারে এসেছিল। আমি নিরপেক্ষতার সাথে তদন্ত করি এবং তাদের ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছিল। তাদেরকে হত্যা করার উদ্দেশ্যই ছিল একমাত্র আওয়ামীলীগের রাজনীতিকে ধ্বংস করা। কিন্তু আল্লাহর রহমতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৮১ সালে যখন দেশে ফিরে আসলেন তখন আবার তিনি নৌকার কান্ডারি হলেন। তিনি উপস্থিত বিপুল জনতাকে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরো শক্তিশালী করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বানিয়াগ্রাম বাজার বণিক সমিতির উদ্যোগে মধ্যপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ১ম বার্ষিক ফ্রি মোটরসাইকেল ফুটবল টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি বিপিএম (বার) , পিপিএম (বার) বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল কাহার আকন্দ এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠান শুরুতে তাকে ফুলের মালা ও ফুলের তোরা দিয়ে বরন করা হয়। মো. শামছুল আলম এর সভাপতিত্বে টুর্নামেন্টে অন্যান্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. মিজানুর রহমান, এ.কে.এ. মোর্শেদ ( সজিব) প্রমুখ।
সেমিফাইন্যাল ২য় ম্যাচে হাজীমোড় স্পোটিং ক্লাব পাঁচগাতিয়াকে হারিয়ে দক্ষিন মধ্যপাড়া সমাজ কল্যাণ যুব সংঘ ফাইন্যালের গৌরব অর্জন করে।
Leave a Reply