কাওসার আহমেদ:
২০২৩ খ্রিঃ থেকে দেশব্যাপী নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষক প্রশিক্ষণ শুরু হতে যাচ্ছে। এই প্রশিক্ষণ দুই ধরনের। যথাঃ
১। অনলাইন প্রশিক্ষণ (মুক্তপাঠের মাধ্যমে)
২। অফলাইন প্রশিক্ষণ।
অনলাইনর প্রশিক্ষণে অংশগ্রনের পর অফলাইন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন করতে পারবে। অফলাইন প্রশিক্ষনের জন্য জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে মাষ্টার ট্রেইনারদের আবেদন গ্রহন করা হয়।
জেলা পর্যায়ে মাষ্টার ট্রেইনারদের আবেদনের সর্বশেষ তারিখ ছিল ২৯/০৯/২০২২ খ্রিঃ পর্যন্ত এবং উ্পজেলা পর্যায়ে আবেদনের সর্বশেষ তারিখ ১১/১০/২০২২ খ্রিাঃ পর্যন্ত। জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে আবেদনকারী মাষ্টার ট্রেইনারগনকে ৬ অক্টোবর ২০২২ খ্রিঃ তারিখের মধ্যে এবং অন্যান্য প্রশিক্ষনার্থী শিক্ষকদেরকে ৩১ অক্টোবর ২০২২ খ্রিঃ তারিখের মধ্যে দেশের সর্ববৃহৎ ই-লার্নিং প্লাটফরম মুক্তপাঠের মাধ্যমে অনলাইন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন করতে বলা হয়।
মুক্তপাঠে রেজিষ্ট্রেশন করে প্রত্যেক শিক্ষকের পি.ডি.এস আইডি দিয়ে অনলাইন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন করতে হয়। স্কুল, কলেজ শিক্ষকদের পি.ডি.এস আইডি থাকলেও মাদ্রাসার শিক্ষকেরা ঊগওঝ কিংবা গঊগওঝ কোন সফটওয়্যারে পি.ডি.এস আইডি পাচ্ছে না। ফলে মাষ্টার ট্রেইনার হওয়ার জন্য আবেদনকারী মাদ্রাসার শিক্ষকদের মধ্যে একধরনের হতাশা কাজ করছে আদৌ তারা ট্রেইনার হতে পারবে কিনা। এজন্য অতিদ্রুত মাদ্রাসা শিক্ষকদের পি.ডি.এস আইডি মেমিস সফটওয়্যারে প্রদর্শন এবং আবেদনকারী মাষ্টার ট্রেইনারদের জন্য অনলাইন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সময়-সীমা বর্ধিত করা অতিব জরুরী হয়ে পড়েছে।
লক্ষণীয় যে, উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ এর মাষ্টার ট্রেইনার স্কুল ও কলেজের পাশাপাশি মাদ্রাসা থেকেও আনুপাতিক হারে সন্নিবেশিত করা প্রয়োজন। বিষয়টি যদি এমন হয় যে উপজেলা পর্যায়ে সাধারন বিষয়গুলোতে মাদ্রাসা থেকে মাষ্টার ট্রেইনার একজন ও নেই; তবে ব্যাপারটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, প্রতিষ্ঠান প্রধানগন মাদ্রাসার শিক্ষকদের অনুপ্রেরণা দিবেন এবং মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকেও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। সেই সাথে মাদ্রাসার দক্ষ শিক্ষকদেরকেও মাস্টার ট্রেইনার হওয়ার জন্য উদ্যোগী হতে হবে।
পরিশেষে বলবো মাদ্রাসা শিক্ষকদের পি.ডি.এস আইডি যত দ্রুত সম্ভব মেমিস সফটওয়্যারে আপলোড করে, তাদেরকে মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে সন্নিবেশিত হওয়ার সুযোগ তৈরি করে, জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ বাস্তবায়নে মাদ্রাসার সক্ষমতাকে কাজে লাগানোর জন্য কতৃপক্ষের আশু পদক্ষেপ কামনা করছি।
লেখক: প্রভাষক, অষ্টগ্রাম হোসেনিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, অষ্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ।
Leave a Reply