নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলায় ৭২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৯টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়েই চলছে বিদ্যালয় গুলো।
শিক্ষক সংকটের ফলে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে এসব বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম। ফলে, ভারপ্রাপ্তদের ভারে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে ওই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ৭২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে ২৯টি বিদ্যালয়েই প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য এবং চলতি দায়িত্বে রয়েছে আরও ১৩টি। সিনিয়র সহকারী শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত করেই প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
অভিভাবকদের অভিযোগ যে, সিনিয়র-সহকারী শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত করে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এতে, প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনায় তাদের উপজেলা শিক্ষা অফিসে দৌঁড়ঝাপেই সময় পার হচ্ছে। ফলে বিদ্যালয়ে ক্লাস নিতে পারছেন না তারা। এতে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
আরও জানা যায়, এমনিতেই উপজেলার ৭২টি বিদ্যালয়ের ২৯ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। তার ওপর যদি সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করায় যথোপযুক্ত শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে। এতে, নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের মৌলিক শিক্ষায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার বেশ কিছু ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক যদি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে তাহলে দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। সেই শিক্ষক ক্লাস করানোর সময় পাচ্ছেন না, এতে অন্য সহকারী শিক্ষকদের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।
ইটনা উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ খাইরুল ইসলাম ঠাকুর বলেন, বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক-শূন্য পদ পূরণ করার জন্য সিনিয়র সহকারী শিক্ষকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়, এতে শিক্ষক সংকট তৈরি হচ্ছে। হাওর এলাকায় শিক্ষার মান উন্নয়নে জন্য প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকদের শূন্য স্থান গুলো দ্রুত সম্ভব পূরণ করার জন্য কতৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি।
সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন জানান, এই এলাকাটি একদিকে গ্রাম অন্যদিকে হাওর এলাকা, এই এলাকায় শিক্ষার মান উন্নয়নে জন্য শিক্ষকদের শূন্য স্থান পূরণ করা জরুরি। এ বিষয়টি আশা করি দ্রুত সমাধান হবে।
Leave a Reply