1. admin@zisantv.com : Alim Uddin : Alim Uddin
মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
কানাইঘাট-জকিগঞ্জবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রফেসর এম ফরিদ উদ্দিন তারেক রহমান : দূরদর্শী ও দেশপ্রেমিক রাজনীতির কীর্তিময় এক অনন্য নাম আটগ্রাম-কালিগঞ্জ সড়কে বীর মুক্তিযোদ্ধা হারিস চৌধুরীর নামফলক ভেঙে ফেলল দুর্বৃত্তরা মাহে রমজান উপলক্ষে সকল মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রফেসার এম. ফরিদ উদ্দিন সমাজে সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠায় অদম্য নারীরা ভূমিকা রাখছেন- কেয়া খান কানাইঘাটের পরিস্থিতিকে শান্ত করতে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সাথে খেলাফত মজলিসের সভা জকিগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সুজন আহমদ গ্রেফতার সিলেটে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে- কানাইঘাটে পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান কানাইঘাটে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একজনকে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ ফেলে গেল সুরমা নদীতে

ফরিদপুর ইউনিয়ন আ. হামিদ ভূঞা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার নাম পরিবর্তনের অভিযোগ (হাওর টাইমস)

  • প্রকাশের সময় শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২২
  • ৪২৪ বার পড়েছে

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়ন আব্দুল হামিদ ভূঞা উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রথমে মধ্য ইংরেজী স্কুল নামকরণ করে ১৯৩৭ সনে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ১৯৩৯ সনে ফরিদপুর আলালপুর আব্দুল হামিদ ভূঞা এম.ই স্কুল নামকরণ করা হয়। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ৪০ বছর পর প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল হামিদ ভূঞা’র নাম বাদ দিয়ে ফরিদপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুর আহমদ এর পিতা মকবুল আহমদকে প্রতিষ্ঠাতা সাজিয়ে তার নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে জনগনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার অভিযোগ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

এ নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এতে করে এলাকার মানুষ বিভ্রান্ত ও নতুন প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস ও তথ্য জানা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতার নাতী ও জমি দাতা আজিজুল হক ভূঞার ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম ভূঞা (৫৫)।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জনস্বার্থে এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে ফরিদপুর ইউনিয়ন আব্দুল হামিদ ভূঞা উচ্চ বিদ্যালয়ের জমি দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা ফরিদপুর গ্রামের মরহুম মুন্সি কামধর ভূঞা’র ছেলে মরহুম আব্দুল হামিদ ভূঞা জীবিত কালে তার নিজ বাড়িতে নিজস্ব খরচে ৫২ হাত দৈর্ঘ্য ও ১২ হাত প্রস্থ একটি টিনসেট ঘর নির্মাণ করে বিগত ১৯৩৭ সনের জানুয়ারি মাসে একটি মধ্য ইংরেজি স্কুল স্থাপন করে দক্ষ শিক্ষক দ্বারা পরিচালনা করিয়া আসা অবস্থায় একটি এগ্রিমেন্টের দলিলের মাধ্যমে ১৯৩৯ সনের ৭ ফেব্রুয়ারি ৫৩৫ নং দলিল মূলে আলালপুর মৌজার সিএস ৬৩ নং খতিয়ানের সিএস ২৬৩ নং দাগের ৭৯ শতাংশের কাত ৪০ শতাংশ শ্রেণি কান্দা ভূমি ও নির্মাণকৃত মধ্য ইংরেজি স্কুল ঘরটি “ফরিদপুর আলালপুর আব্দুল হামিদ ভূঞা এম.ই স্কুল” নামকরণ করে ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সেক্রেটারির নামে একটি দলিল করে দেন।আলালপুর মৌজার সেটেলমেন্টের ২৬৩ নং দাগের উত্তরাংশে বিদ্যালয়টি স্থাপন করিয়া পরিচালিত হয়।

এগ্রিমেন্ট পত্রে উল্লেখ ছিলো আব্দুল হামিদ ভূঞা জীবিত থাকা অবস্থায় তিনি প্রতিষ্ঠানের সেক্রেটারি থাকিবেন এবং তিনি মৃত্যুর পর তাহার বংশের মধ্যে উপযুক্ত ব্যক্তি সেক্রেটারি থাকিবে ও অত্র স্কুল উচ্চ শিক্ষার স্কুল-কলেজে পরিনত হইলেও এই নিয়ম চলিতে থাকিবে। জীবিত থাকা অবস্থায় ওই জমির খাজনা তিনি নিজেই বহন করিবেন মর্মে উল্লেখ করেন। এগ্রিমেন্টের স্বাক্ষী ছিলেন বিদ্যালয়ের বেতনভূক্ত প্রধান শিক্ষক হাজী মো. রুছমত আলী ভূঞা। যিনি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুর আহমদ এর দাদা ও মকবুল আহমদ এর পিতা।

এছাড়া ওই জমির দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা পূনরায় ১৯৫৮ সনের ১৬ জানুয়ারি ২২৮ নং দলিল মূলে প্রতিষ্ঠানের জন্য তৎকালীন সময়ের ৫০০ টাকা মূল্যের আসবাবপত্র ক্রয় করে দেন।

এছাড়াও ফরিদপুর গ্রামের মরহুম হাজী কালু ভূঞার ছেলে আব্দুল আলী ভূঞা ১৯৩৯ সনের ৭ ফেব্রুয়ারি ৫৩৪ নং দলিল মূলে ১৩৬ শতাংশ, প্রতিষ্ঠাতার ভাতিজা আব্দুল মজিদ ভূঞার ছেলে ও অভিযোগকারী মো. রফিকুল ইসলাম ভূঞা’র পিতা আজিজুল হক ভূইয়া ১৯৭৪ সনের ২৬ ফেব্রুয়ারি ৯৪২ নং দলিল মূলে ফরিদপুর মৌজার এসএ ৩২৬ নং খতিয়ানের এসএ ৩৩১ নং দাগ থেকে ৭৯ এর কাত ২৬ শতাংশ, হাজী মো. রুছমত আলী ভূঞার ছেলে (বর্তমানে যাকে ওই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে জনগনের দৃষ্টি গোচর করা হয়েছে) মকবুল আহমদ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ৩৬ বছর পর অর্থাৎ ১৯৭৫ সনের ১১ডিসেম্বর ৮৪৭৭ নং দলিল মূলে ফরিদপুর মৌজার এসএ ১৬০ ও ১৭১ নং খতিয়ানের ৬৬৮ ও ১৪৫০ নং দাগ থেকে মোট ২৭ শতাংশ ভূমি বিদ্যালয়ের নামে দান করেন।

এছাড়া নলবাইদ গ্রামের মৃত সফর আলীর পুত্র চান মিয়া ১৯৭৫ সনের ১১ ডিসেম্বর ৮৪৮২ নং দলিল মূলে ফরিদপুর মৌজা থেকে ২০ শতাংশ, মৃত সাবুদ আলীর পুত্র আপ্তাব উদ্দিন ১৯৭৫ সনের ১১ডিসেম্বর ৮৪৮৩ নং দলিল মূলে ফরিদপুর মৌজা থেকে ২০ শতাংশ, সৈয়দ আলীর পুত্র আব্দুল হামিদ ১৯৭৫ সনের ১১ ডিসেম্বর ৮৪৮৪ নং দলিল মূলে ফরিদপুর মৌজা থেকে ১৭ শতাংশ, মৃত মগল হোসেনের পুত্র লাল মামুদ ১৯৭৫ সনের ২২ ডিসেম্বর ৮৫১৯ নং দলিল মূলে ফরিদপুর মৌজা থেকে ১৭ শতাংশ এবং ফরিদপুর গ্রামের আব্দুল ছইদ ভূঞার ছেলে ইনছাফ উদ্দিন ও আব্দুল মোতালিবের ছেলে মো. হাবিব উল্লাহ মিলে ২৮ শতাংশ ভূমি ওই বিদ্যালয়ের নামে দান করেন।

পরবর্তীতে ওই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাতার ভাতিজা আজিজুল হক ভূইয়া ও বোনের স্বামী আব্দুল আলী ভূঞার দানকৃত ফরিদপুর মৌজার ৩৩১,৩৩২ ও ৩৩৩ নং দাগে বিদ্যালয়টি স্থানান্তরিত করে নামকরণ করা হয় ফরিদপুর ইউনিয়ন আব্দুল হামিদ ভূঞা উচ্চ বিদ্যালয়।

বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ৩৬ বছর পর স্থাপনকৃত বিদ্যালয়ের জায়গা ও খেলার মাঠের জায়গা থেকে অনেক দুরে ফরিদপুর মৌজার অন্য দুইটি খতিয়ানের অন্য দুইটি দাগে ২৭ শতাংশ ভূমি উক্ত বিদ্যালয়ের নামে দান করে মকবুল আহমদ কি ভাবে প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা হন এ নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কারণ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় তিনি জন্ম হয়েছিলেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে বলে দাবী করেন অভিযোগকারী। তাহলে মকবুল আহমদ কি ভাবে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হন এমন প্রশ্ন অনেকেরই।

বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মকবুল আহমদ এর আগে ও পরে আরো অনেকেই বিদ্যালয়ের নামে তার চেয়ে আরো অনেক বেশী সম্পত্তি দান করেও তারা কিংবা তাদের বংশধররা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা দাবী করতে আসেননি। তৎসময়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা ম্যানেজ হয়ে বিদ্যালয়ের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল হামিদ ভূঞা’র পরিবর্তে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, বিদ্যালয় অফিস ভবনের সামনে ও এক সাইডের দেয়ালে প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মকবুল আহমদ এর নাম লিখিয়েছেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির অন্যান সংবাদগুলো


প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST