1. admin@zisantv.com : Alim Uddin : Alim Uddin
রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
গাছবাড়ী-হরিপুর সড়কের সংস্কার কাজ নিজ অর্থায়নে শুরু করেছেন মামুনুর রশীদ চাকসু সিলেট-০৫, (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আসনে বিএনপির প্রচার-প্রচারনায় রয়েছেন ডজন খানেক প্রার্থী কানাইঘাটে ফেসবুকে জুলাই বিপ্লব নিয়ে কটুক্তি করায় ছাত্রলীগ নেতা রাদিম গ্রেফতার কানাইঘাট জাতীয়তাবাদী ফোরাম ইউকের কমিটি গঠন, বুলবুল সভাপতি-নাজমুল সম্পাদক সিলেটের জাফলংয়ে টাস্কফোর্সের অভিযানে ১৮টি ক্রাশার মেশিনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন মেঘালয় টি এস্টেটের ইজারা বাতিল করে স্থানীয়দের নামে বন্দবস্ত প্রদানের দাবীতে মানববন্ধন জৈন্তাপুরে সীমান্তবর্তী জনসাধারণের স্বাস্থ্য সেবায় মেডিকেল ক্যাম্পেইন কর্মসূচি পালন জকিগঞ্জে বর-কনের গাড়ির ধা’ক্কা’য় অটোরিকশা চালক নি*হ*ত: শিশুসহ ৩ জনের অবস্থা আ_শ-ঙ্কা_জনক সিলেটের বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় পরিবেশবান্ধব ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়নে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে সুরমা-কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ জকিগঞ্জবাসী, এবার দাবী আদায়ে সোচ্চার

“কুলিয়ারচরে ইউপি সচিবকে মারধোর”ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন চেয়ারম্যান (হাওর টাইমস)

  • প্রকাশের সময় মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০২২
  • ২৪৮ বার পড়েছে

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

অবৈধ পন্তায় তৈয়ারীকৃত জন্ম নিবন্ধনে স্বাক্ষর না দেওয়ায় কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের নব-যোগদানকৃত সচিব মো. হাবিবুর রহমান (৫৫) কে মারধোরের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম আজিজ উল্ল্যাহ’র বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল হওয়ার পর জাতীয় দৈনিক, স্থানীয় দৈনিক ও বিভিন্ন অনলাইন নিউজ ভার্সন ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এরপর থেকেই এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম লুনা ২২ নভেম্বর ঙ্গলবার দুপুরে তার কার্যালয়ে হেয়ারিং এর আয়োজন করে হিয়ারিং-এ উপস্থিত থাকার জন্য অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও অভিযোগকারী ইউপি সচিবকে নোটিশ প্রদান করেন। নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিব ইউনিয়নের সদস্যদের সাথে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে অনুষ্টিত হতে যাওয়া হিয়ারিং-এ উপস্থিত হন।

অভিযোগকারী ইউপি সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেন, হিয়ারিং শুরু হওয়ার আগেই ইউএনও স্যার ও উপস্থিত ইউপি সদস্যদের সামনে চেয়ারম্যান এস.এম আজিজ উল্ল্যাহ সাহেব তার নিজের ভুল স্বীকার করে তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করলে ইউএনও স্যার বলেন, সচিব সাহেব আপনি কি বলেন? তখন তিনি ইউএনও মহোদয়কে উদ্দেশ্য করে বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব যেহেতু তার নিজের ভুল বুঝতে পেরে ভুল স্বীকার করেছে এবং ডিডিএলজি স্যার যেহেতু আপনাকে দ্বায়িত্ব দিয়েছেন, সেহেতু আপনি যেটা ভালো মনে করেন আপনি সেটাই করেন এবং ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমাকে অন্যত্র বদলীর সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিলের করেন।

এছাড়া তিনি আরো বলেন, ডিডিএলজি স্যারের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদে আর যাবেন কি না।

অপর দিকে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম আজিজ উল্ল্যাহ’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইউপি সচিব মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সকালে এসে তার নিকট সরি বলেছে। তিনিও সচিবের নিকট সরি বলেছেন। ইউএনও মহোদয় হিয়ারিং করার আগেই তারা দু’জনে এক সাথে বলেছে এ বিষয়ে তারা মিটমাট করে এসেছে। তখন আর কোন হিয়ারিং হয়নি।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইউপি সচিব মো. হাবিবুর রহমান গত ১৪ নভেম্বর সোমবার ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদে যোগাদান করেন। যোগদানের দ্বিতীয় দিন গত ১৫ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতে পরিষদের উদ্যোক্তা অবিলাস চন্দ্র ভৌমিক কয়েকটি জন্ম নিবন্ধন প্রিন্ট করে নব-যোগদানকৃত ইউপি সচিবকে বলেন, ওইসব জন্ম নিবন্ধনে স্বাক্ষর করে দেওয়ার জন্য।

ইউপি সচিব অনলাইনে চেক করে দেখেন ওইসব জন্ম নিবন্ধন করতে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন এসব কাগজপত্র অনলাইনে নেই। এমনকি সেবা গ্রহীতারাও প্রমানাদীর কোন হার্ট কপি দেখাতে পারেননি।
তাই তিনি ওইসব জন্ম নিবন্ধনে স্বাক্ষর দেননি। এ ঘটনায় ওই দিন বিকাল ৩ টার দিকে চেয়ারম্যান একজন দফেদারের মাধ্যমে ইউপি সচিবকে তার অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে উদ্যোক্তার দেওয়া জন্ম নিবন্ধনে কেন স্বাক্ষর দেয়নি এমন প্রশ্ন করলে ইউপি সচিব ঘটনা খুলে বলার সাথে সাথে উত্তেজিত হয়ে চেয়ারম্যান বলেন এগুলো আপনার দেখার প্রয়োজন নেই। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান তার চেয়ার থেকে উঠে ইউপি সচিবের শার্টের কলারে ধরে তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও চর-থাপ্পর মারে এবং অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে বলেন, আমি যে কাগজই পাঠাইনা কেন চোখ বন্ধ করে স্বাক্ষর দিয়ে দিবে। স্বাক্ষর করতে না পারলে কাল থেকে তুই আর ইউনিয়ন পরিষদে আইস না। একথা বলেই অফিসের ভিতর রড খুঁজতে খুঁজতে বলে তুই আমাকে আইন শিখাচ্ছিস?

এসব অভিযোগে ইউপি সচিব মো. হাবিবুর রহমান গত ১৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম লুনা’র নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এর আগে তিনি ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী মো. আনোয়ার হোসেনকে সাথে নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে ডিডিএলজি মো. হাবিবুর রহমান এর নিকট এ ঘটনা খুলে বলেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির অন্যান সংবাদগুলো


প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST