নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদের হল রুমে শিক্ষকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ইয়াছির মিয়া মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে দেওয়া তাঁর এক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তাঁর এই বক্তব্য কুরআন- সুন্নাহ বিরোধী আক্ষা দিয়ে উপজেলার ইমাম-ওলামা পরিষদ ও স্থানীয় আলেম সমাজ এর প্রতিবাদে উত্তোপ্ত হয়ে উঠে এবং চেয়ারম্যানের বক্তব্যের বিরুদ্ধে নানা কর্মসূচির ডাক দেয়।
এই অবস্থায় আজ শনিবার (২৮ জানুয়ারি) উপজেলার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জোহরের নামাজের পর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইয়াছির মিয়া তার ভুল বক্তব্যের জন্য অনুতপ্ত হয়ে মহান আল্লাহ পাকের নিকট প্রথমে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, বক্তব্য দিতে গিয়ে যা আমার অন্তরে ছিলনা তাও কিভাবে বের হয়ে আসে আমি জানিনা। আমি একজন মুসলমান, ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, আমার ওই বক্তব্যে কারোর মনে কষ্ট পেয়ে থাকলে সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। পরে ইমাম-ওলামা পরিষদ তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমতিয়াজ বিন মুছা জিসান, সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন লিটন, কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ নূরে আলম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুর রহমান, ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক লায়ন মশিউর আহমেদ, উপজেলা ইমাম-ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি ইলিয়াস মোহাম্মদ কাসেমী রাসেল ও কুলিয়ারচর নূরুল উলুম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম খান সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও উপজেলা ইমাম-ওলামা পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
পরে সকলের শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
জানা যায়, গত ২১ জানুয়ারি কুলিয়ারচর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে উপজেলা হল রুমে এক মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয় আলহাজ্ব ইয়াছির মিয়া। এ সময় তিনি মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে কিছু কথা বললে তার এই বক্তব্য ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।ফলে তাঁর এই বক্তব্য কুরআন- সুন্নাহ বিরোধী আক্ষা দিয়ে উপজেলার ইমাম- উলামা পরিষদ এর প্রতিবাদ করে বিভিন্ন কর্মসূচী ঘোষনা করেন। পরে আস্তে আস্তে পরিস্থিতি উত্তোপ্ত হতে থাকে। এক পর্যায়ে এর বিচার দাবী করে নানা কর্মসূচির ডাক দেয় উপজেলা ইমাম-ওলামা পরিষদ।
Leave a Reply