বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় আসতেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধনের পাশাপাশি হাওরের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্বচক্ষে দেখার জন্যই প্রধানমন্ত্রীর মিঠামইনে এ সফর। এ সময় মিঠামইন হেলিপ্যাড মাঠে বিশাল জনসভায়ও যোগদান করবেন তিনি।এ সফরকে কেন্দ্র করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’কে রবণে হাওর উপজেলায় চলছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
শত বছরের চির অবহেলিত হাওরাঞ্চল গত ১০ বছরে পাল্টে গেছে উন্নয়নের স্বপ্ন চোয়ায়। পাল্লে গেছে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা ইটনা- মিঠামইন ও অষ্টগ্রামের চিত্র। রাস্তা, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্যখাত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সকল কিছুতেই লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া।
আর তাই তো দীর্ঘ দুই যুগ পর আবারো কিশোরগঞ্জের মিঠামইন আসতেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে প্রস্তুত হাওরের মানুষ। চারদিকে শুধু সাজ সাজ রব। প্রধানমন্ত্রী কে একনজর দেখতে অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। শেষ হয়েছে মঞ্চ সাজ-সজ্জা, মাঠের সৌন্দর্য্য বর্ধন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের সকল কাজ। রাস্তায় রাস্তায় প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে ব্যানার, ফেস্টুন টানিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
আগামীকাল সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী মিঠামইনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস ক্যান্টনম্যান্ট উদ্বোধন শেষে বিকেলে মিঠামইন হেলিপ্যাড মাঠে জনসভায় যোগদান করবেন। বর্তমান সরকারের হাত ধরে এই উন্নয়ন দেখাতে অধির আগ্রহে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।
এর আগে ১৯৯৮ সালের ৩ অক্টোবর হাওর উপজেলা মিঠামইন এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয়রা বলছে, প্রধানমন্ত্রীর কাজে হাওরের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে হাওরের মানুষ সুখে আছে। তাদের আর কিছু চাওয়ার নেই। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরার জন্য জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। জনসভাকে জনসমুদ্রে রূপ দেওয়ার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে প্রধানমন্ত্রীকে অর্ভথ্যনা জানাতে আজই নিজ রাড়িতে অবস্থান করার কথা রয়েছে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ মহোদয়ের। এরপর জনসভায় যোগদান করবেন প্রধানমন্ত্রী।
Leave a Reply