নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
দেশের সর্ববৃহৎ ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টায় শুরু হবে এ জামাত।
ঐতিহাসিক ঈদগাহ মাঠের প্রথা অনুযায়ী নামাজ শুরুর আগে মুসল্লিদের সংকেত দিতে শর্টগানের ছয়টি ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হবে। নামাজ শুরুর ৫ মিনিট আগে ৩টি, তিন মিনিট আগে দুটি ও শেষটি জামাত শুরুর ১ মিনিট আগে ছোঁড়া হবে।
শোলাকিয়া ময়দানে এবার ঈদুল আজহার ১৯৬ তম জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা ফরীদ উদ্দিন মাসউদ।
ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) কিশোরগঞ্জবাসীসহ সারা দেশের মুসল্লিদের ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে শোলাকিয়ার ঈদগাহে ঈদের নামাজে শরিক হতে আহ্বান জানিয়েছেন
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।
ঈদের নামাজকে কেন্দ্র করে পুরো কিশোরগঞ্জ শহরজুড়ে নিরাপত্তা পরিকল্পনা করা হয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে সিসি ক্যামেরা, ড্রোন ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনসহ সব মিলিয়ে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে।
কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখ গণমাধ্যমকে বলেন, ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ ঈদগাহ মাঠে শুধুমাত্র জায়নামাজ সঙ্গে নিয়ে আসবেন। যেকোনো ধরণের ইলেকট্রনিকস ডিভাইস, দাহ্য পদার্থ, ছাতা, ব্যাগ বা অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে ঈদগাহ মাঠে না আসার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হচ্ছে।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ঐতিহাসিক এই ঈদগাহ মাঠে নামাজের জন্য সবাই আসবেন বলে প্রত্যাশা করেন পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখ।
শোলাকিয়া ঈদগাহে নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে ঈদের দিনে কিশোরগঞ্জ- ময়মনসিংহ ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ রুটে শোলাকিয়া এক্সপ্রেস নামে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে।
স্থানীয়দের মতে, ১৮২৮ সালে এই মাঠে ঈদের জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’, এরপর ধীরে ধীরে কালের প্রবাহে এই ঈদগাহটি পরিচিতি পায় শোলাকিয়া নামে।
Leave a Reply