মোঃ আশরাফ আলী,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত এর চক্রান্তে নৈরাজ্য সৃষ্টি প্রতিহত করার জন্য কিশোরগঞ্জের গণমানুষের নেতা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক বিসিবি পরিচালক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুকে প্রধান অতিথি করে ইউনিয়ন ইউনিয়নে গণসংযোগের আয়োজন করা হয় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে।
প্রত্যাকটি মতবিনিময় কিংবা পথসভায় জনতার ঢল নেমে আসে তাদের প্রিয় নেতা সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর সাবলীল মিষ্টি কথা শুনার জন্য। ইতিমধ্যে তিনি সর্বজন স্বীকৃত ও আওয়ামী লীগের তৃণমূল রক্ষক হিসেবে পরিচিত হয়েছে।
তিনি আওয়ামী লীগ অফিসে হামলার প্রতিবাদে প্রকাশ্যে হেফাজত ইসলামকে প্রতিহত করেছিলেন। তৃণমূল আওয়ামী লীগের বঞ্চিত নেতাদেরকে করোনা ও বিভিন্ন সময়ে স্বউদ্যোগে সহযোগিতা করে গিয়েছেন। এতে করে সদরের নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকা স্বত্বেও তৃণমূল আওয়ামী লীগের ভারসার স্থান হলেন সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু।
আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ১১টি ইউনিয়নের তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। গত ৮ আগস্ট মঙ্গলবার যশোদল ইউনিয়নে শুরু হয়েছিল তার এই গণসমাবেশ। ২৭ আগস্ট সন্ধ্যায় তার সমাপ্তি ঘটে। ৮ আগস্ট যশোদল, ১০ আগস্ট কর্শাকড়িয়াইল, ১১ আগস্ট বৌলাই, ১৪ আগস্ট মাইজখাপন, ১৮ আগস্ট চৌদ্দশত, ১৯ আগস্ট লতিবাবদ, ২০ আগস্ট বিন্নাটি, ২৩ আগস্ট মারিয়া, ২৪ আগস্ট মহিনন্দ, ২৫ আগস্ট রশিদাবাদ, ২৭ আগস্ট দানাপাটুলী ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গণসংযোগে সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু জনগণকে আশ্বস্থ করেছেন তিনি যদি জননেত্রী শেখ হাসিনার আদেশক্রমে নৌকার প্রার্থী হন তাহলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করবেন এবং বর্তমানে নৌকার বিদ্রোহীগণ নির্বাচিত হয়ে যে সমস্ত নেতাকর্মীদের হেনস্থা করছেন তাও তিনি প্রতিহত করবেন।
জননেত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্মার্ট বাংলাদেশের অংশীদার হিসেবে কিশোরগঞ্জকে মডেল হিসেবে তৈরি করবেন। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্বপ্নের নরসুন্দা লেকসিটি, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়াম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ শহরের উন্নয়ন কর্মকান্ড, বাইপাস সড়ক নির্মাণ, শিক্ষার মান উন্নয়ন, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করণ, কিশোর গ্যাং বন্ধ করা, চাঁদাবাজ ও দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিহত করা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, তৃণমূলকে সঠিক মূল্যায়ন, বিদ্যুতের উন্নয়ন, শিক্ষাঙ্গন সুশৃঙ্খল রাখা, সরকারি বরাদ্দকৃত সকল কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা, জামায়াত- বিএনপির চক্রান্ত প্রতিহত করাসহ সকল অসংগতিকে প্রতিরোধ করবে তার নিজের জীবন বাজি রেখে।
তিনি বলেন আমাদের বংশে কোন বেঈমানের রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে না। ৩রা নভেম্বর আমার চাচাকে হত্যা ও আমার বাবাকে অমানবিক নির্যাতন করে মানসিকভাবে ক্ষতি করা হয়েছে। জামায়াত-বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে আমি নিজে সেনাবাহিনী ও পুলিশ দ্বারা এবং জামায়াত-বিএনপি’র লোকদ্বারা আক্রান্ত হয়েছি। তবুও দেশ প্রেমের টানে পিছুপা হয়নি। আমার উপর জননেত্রী যদি কোন দায়িত্ব দেন সেটা সততার সাথে পালন করব। যা ইতিমধ্যে প্রমাণ করে দেখিয়েছি।
বিসিবির পরিচালক থাককালীন সময় দেশপ্রেমের সর্বোচ্চ সতর্কতার প্রমাণ দিয়েছি। আপনাদের ভালোবাসার মূল্য দেয়ার মত আমার শক্তি নেই। তবে ভালোবাসার প্রতিদান হিসেবে ভালোবাসা দিয়ে যাব আজীবন।
Leave a Reply