নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ভৈরবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ব্যবসায়ীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের জামে মসজিদ রোড এলাকার কয়েকশ ব্যবসায়ী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তারা হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারসহ তাদের ক্ষতি পূরণের দাবি করেন।
মানববন্ধনে এ সময় বক্তব্য রাখেন ভৈরব চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আলহাজ্ব হুমায়ুন কবির, ব্রাদার্স শপিং সেন্টারের পরিচালিক তোফাজ্জল হোসেন জাকির, স্বপ্ন শপিং শপের পরিচালক আরিফুল হক সুজন প্রমুখ।
ব্যবসায়ীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, যেখানে নতুন স্থাপনা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয় সেখানেই চিহ্নিত সন্ত্রাসী আশরাফুল আলম বিজন নিজেদের জমি আছে দাবি করে বাঁধা দেয় এবং তাকে চাঁদা না দিলে কেউ স্থাপনা নির্মাণ করতে পারে না।
সবশেষ গত মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকালে জামে মসজিদ রোডে নির্মাণাধীন ব্রাদার্স শপিং সেন্টারে তাদের জমি আছে দাবি করে সন্ত্রাসী আশরাফুল আলম বিজন তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ২০/২৫জন সদস্য নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
এ সময় তারা স্বপ্ন শপিং শপসহ আশে পাশের ২০টিরও বেশী দোকান, ব্যাংক ও শপিংমলে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। এতে করে সাধারণ ব্যবসায়ীদের প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ীরা জানান, যদি বিরোধ থাকে তবে ব্রাদার্স শপিং সেন্টারের সাথে থাকতে পারে। আমাদের সাথে তো নেই। তবে কেনো আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করা হলো ? তারা এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচার দাবি করেন।
ব্রাদার্স শপিং সেন্টারের পরিচালক মো. তোফাজ্জল হোসেন জাকির বলেন, ১৯৪২ সাল থেকে শুরু করে ক্রয়-বিক্রয়ের সকল ভায়া দলিল থাকা সত্বেও বিজন আমাদের বিরুদ্ধে ২টি মামলা দায়ের করেন। প্রয়োজনীয় দলিল ও নথিপত্র দেখাতে না পারায় সেই মামলাগুলিতে সে পরাজিত হয়ে সে গায়ের জোরে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। প্রশাসনের কাছে আমরা এর প্রতিকার চাই।
স্বপ্ন শপিং শপের পরিচালক আরিফুল হক সুজন বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আমরা সুনামের সাথে স্বপ্ন শপিং শপ চালিয়ে আসছি। আমাদের সাথে এই বিরোধের কোনোই সম্পর্ক নেই। তারপরও আমার দোকানটি ভেঙ্গে ক্যাশ লুটসহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। আমি এর প্রতিকার চাই।
চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের সভাপতি আলহাজ্ব হুমায়ুন কবির বলেন, ইদানিং কোনো ঘটনায় মারামারি হলেই সাধারণ ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। এতে করে সাধারণ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ ভৈরবের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। এসবের দ্রুত প্রতিকার হওয়া উচিত।
Leave a Reply