নিজস্ব প্রতিবেদন :: কানাইঘাটের দিঘীরপার পূর্ব ইউপির পূর্ব কুওরেরমাটি গ্রামের সৈয়দ আলী উরফে মোঃ ছইদ আলী দেশ স্বাধীনের বহু আগে ভারতের আসামে চলে যান। সেখানে তিনি বসবাসকালে তার স্ত্রী মস্তরা বাবু’র কুলে তিন সন্তানের জন্ম হয়। এরমধ্যে বিলাল আহমদ ১৯৬৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর আসামে জন্ম গ্রহণ করেন। সেই হিসাবে আসাম রাজ্যের হুজাই জেলার দেবস্থান থানার বড়বালী গ্রামের বাসিন্ধা ও নাগরিক বিলাল আহমদ।
সম্প্রতি তিনি অবৈধভাবে বাংলাদেশে বেড়াতে এসে আসামের এনআরসি, আদারকার্ড ও রেশন কার্ড এর তথ্য গোপন রেখে পৈত্রিক ভিটার জায়গা বিক্রয় করার জন্য বাংলাদেশী জন্মনিবন্ধন ও এনআইডি কার্ড করেছেন। এনিয়ে কানাইঘাটের সচেতন মহলের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা বলেন এত তাড়াতাড়ি কিভাবে বিলাল আহমদ বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে জন্মনিবন্ধন ও এনআইডি কার্ড করলেন। এবিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কানাইঘাটের দিঘীরপার পূর্ব ইউপির পূর্ব কুওরেরমাটি গ্রামে তার পিতা (দং সৈয়দ আলী) এর হিস্যা অনুযায়ী ০৭ শতক জায়গা রয়েছে। উক্ত জায়গাটি তিনি একই গ্রামের আব্দুল কাদিরের কাছে গ্রামবাসী সালিশগনের মাধ্যমে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা বিক্রয় করে নগদ ২০ হাজার টাকা বায়না গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে উপজেলা সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে আসার পর স্থানীয় মহুরীদের মাধ্যমে জানতে পারেন এই জায়গার (খং দং আব্দুল মুসব্বির) নামে এক ব্যক্তির নাম রয়েছে। তাই তিনি জায়গাটি রেজিস্ট্রি করে দিতে হলে মাননীয় সহকারী জজ কানাইঘাট আদালত সিলেট’ এ সত্ব মামলা করতে হবে। পরে তিনি উক্ত আদালতে সত্ব মামলা করেন। স্বত্ব মোকদ্দমা নং- ২০/২০২৪ইং।
এলাকাবাসী জানান, আসামের বড়বালী গ্রামের বাসিন্ধা ও নাগরিক বিলাল আহমদ সম্প্রতি দেশে বেড়াতে এসে তার পিতা সৈয়দ আলীর ভিট বাড়ী যাহা সৈয়দ আলী দেশ স্বাধীনের পুর্বে মৌখিক ভাবে আব্দুল কাদিরের বাবা আব্দুল মুছব্বিরের কাছে বিক্রয় করেছিলেন। এরপর রেজিস্ট্রি করে দিতে না পারায় তার ছেলেরা দেশ স্বাধীনের পর আবার মৌখিক ভাবে আব্দুল কাদিরের কাছে বিক্রয় করে টাকা পয়সা নিয়ে গেছেন।
এবিষয়ে আসাম থেকে আগত বিলাল আহমদ বলেন, আমি ভারতের আসামের নাগরিক। বর্তমানে বাংলাদেশে আছি। আমি কোন বেজালে নেই। আমার পিতার জায়গা বিক্রয় করতে আমি জন্মনিবন্ধন, এনআইডি কার্ড করার পর উক্ত জমির খাজনা পরিশোধ করেছি। এতে এসব কাজ করতে আমার বহু টাকা খরচ হয়েছে।
এবিষয়ে আব্দুল কাদির বলেন, বিলাল আহমদের পৈত্রিক মাত্র ০৭ শতক জায়গা রয়েছে। এই জায়গা তিনি বিক্রয় করতে এত টাকা খরচ করার কি প্রয়োজন ছিলো। আর এ জায়গা বিক্রয়ের পর তিনিতো আসামে চলে যাবেন তাহলে তার বাংলাদেশী জন্মনিবন্ধন ও নাগরিকত্বের এনআইডি করার কি প্রয়োজন ছিলো। বা এসব কাজে কারা তাকে সহযোগিতা করেছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তিনি প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানান।
Leave a Reply