অনলাইন ডেস্ক :: কানাইঘাটে চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করার কারণে শ্রমিক নেতা শিহাব উদ্দিনকে (৪২) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বুধবার (২৮মে) বিকালে কানাইঘাট থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী হেপী বেগম।
মামলায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আর ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে৷ মামলার আসামীরা হলেন খালপার গ্রামের ইসলাম উদ্দিন (বগলাই) এর চার ছেলে শিব্বির আহমদ (২৭), মোঃ শহিদুল ইসলাম (৩৬), জামাল আহমদ (৪৩) ও কামাল আহমদ (৩৯), খালপার গ্রামের মৃত আনফর আলীর ছেলে লুৎফুর রহমান (৪৮) এবং অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন হইতে আসামিগণ এলাকায় চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িত। স্থানীয় লোকজন তাহাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় না। শিহাব উদ্দিন প্রায়ই বিবাদীগনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। আর এ প্রতিবাদই কাল হয়ে দাঁড়ায় শিহাব উদ্দিনের। আসামিরা তাকে বিভিন্ন সময়ে খুন করার হুমকি প্রদান করে।
এছাড়া শিহাব উদ্দিন বিভিন্ন প্রকার ব্যবসার সহিত জড়িত। গতকাল ২৭ মে ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলাধীন আশুগঞ্জ থানা এলাকা হইতে রাত অনুমান ৮.০০ ঘটিকার সময় ব্যবসার জন্য ট্রান্সপোর্ট যোগে (এগারো হাজার) ইট স্থানীয় খালপার সমিল সংলগ্ন স্থানে নিয়া আসেন শিহাব উদ্দিন। ঘটনাস্থলে বোঝাই ভর্তি ট্রাক হইতে ইট খালাস করার জন্য শিহাব শ্রমিক খোঁজাখুঁজি করিয়া রাত অনুমান ৯.৩০ ঘটিকার সময় ৩/৪জন শ্রমিক নিয়া আসেন। রাত অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত আসামিগণ পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫জন নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে ছুরা, রাম দা, লোহার পাইপ, ইত্যাদি সহকারে শিহাব উদ্দিন কে পূর্ব আক্রোশে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত ভাবে আক্রমন করে।
আসামিদের উপর্যুপুরি ছুরার আঘাতে রক্তাক্ত জখম হন শিহাব। এ সময় শিহাব উদ্দিন আত্মরক্ষার জন্য শোর চিৎকার করিলে তাহার শোর চিৎকার শুনিয়া আশপাশ হইতে লোকজন এগিয়ে আসিলে আসামিগণ পালিয়ে যায়।
পরে আত্মীয় স্বজনও স্থানীয় জনগণ শিহাব উদ্দিন কে চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন।
এ বিষয়ে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল বলেন, শিহাব উদ্দিন খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply