1. admin@zisantv.com : Alim Uddin : Alim Uddin
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৮ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
বিজিবি সিলেট সেক্টরের অধীনস্থ জকিগঞ্জ (১৯ বিজিবি) এর অভিযানে ভারতীয় মদ, মহিষ ও চিনি আটক অধ্যাপক জাকি মোস্তফা টুটুল এর আর্থিক সহযোগিতায় কানাইঘাটে ফ্রি চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত কানাইঘাট-জকিগঞ্জবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রফেসর এম ফরিদ উদ্দিন তারেক রহমান : দূরদর্শী ও দেশপ্রেমিক রাজনীতির কীর্তিময় এক অনন্য নাম আটগ্রাম-কালিগঞ্জ সড়কে বীর মুক্তিযোদ্ধা হারিস চৌধুরীর নামফলক ভেঙে ফেলল দুর্বৃত্তরা মাহে রমজান উপলক্ষে সকল মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রফেসার এম. ফরিদ উদ্দিন সমাজে সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠায় অদম্য নারীরা ভূমিকা রাখছেন- কেয়া খান কানাইঘাটের পরিস্থিতিকে শান্ত করতে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সাথে খেলাফত মজলিসের সভা জকিগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সুজন আহমদ গ্রেফতার সিলেটে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বন‍্যার আশঙ্কা ভাঙছে নদী বিলিন ফসলি জমি

  • প্রকাশের সময় সোমবার, ২০ জুন, ২০২২
  • ১২১ বার পড়েছে
News
বিপুল ইসলাম আকাশ,সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃ-


গত এক সপ্তাহ ধরে টানা অবিরাম বর্ষন এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে সেই সাথে বন‍্যার রুপ ধারণ করছে।নদীগর্ভে বিলিন হচ্ছে ফসলি জমি,রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ি। নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে দেড় হাজার পরিবার। ভাঙনের মুখে হাজারও একর ফসলি জমি ও শতাধিক বসতবাড়ি।গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার পানি বর্তমানে বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে উপজেলার হরিপুর, শ্রীপুর, চন্ডিপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র আকারে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের তথ্য মতে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১০০টি পরিবার এবং ৩০০ হেক্টর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। উজানের ঢলে নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় কমপক্ষে দেড় হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। পানিবন্ধি পরিবারগুলো আশ্রয় কেন্দ্র এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।হরিপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গার চর গ্রামের মন্টু মিয়া জানান, পানি এখনও ঘরের ভিতরে উঠেনি। তবে যে হারে পানি বাড়ছে, তাতে করে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘরের ভিতরে পানি ঢুকে যাবে। তিনি আরও বলেন গত এক সপ্তাহের নদী ভাঙনে তার ৩ বিঘা জমি উঠতি তোষাপাটসহ নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মন্জু মিয়া জানান, তার ইউনিয়নের কমপক্ষে ১ হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি ৫০টি পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। অনেক পরিবার ইতিমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে গোটা চরাঞ্চলের কমপক্ষে ৫ হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি আরও বলেন ভাঙন ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় হাজারও পরিবার ভাঙনের সন্মুখিন হয়ে দাড়িয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকা ছাড়া চরাঞ্চলে চলাচল দূরহ ব্যাপার হয়ে দাড়িছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিকট হতে পানিবন্ধি ও নদী ভাঙনের শিকার পরিবারদের তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পানিবন্ধি পরিবারদের তালিকা চুড়ান্ত করা হয়নি। ইতিমধ্যে বানভাসিদের জন্য ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া মজুত রয়েছে ১০ মেট্রিক টন চাল।উপজেলা নিবার্হী মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, তিস্তায় পানি বাড়ছে। এখনও সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বন্যায় বানভাসিদের সহায়তায় সকল রকম প্রস্তুতি রয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির অন্যান সংবাদগুলো


প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST