নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
১৯৮৯ সালের এই দিনে (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ঢাকাস্থ ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী সম্মেলনে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতায় জাতীয় প্রত্যাশা পূরণে শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক এর নেতৃত্বাধীন খেলাফত আন্দোলন এবং ড. আহমদ আবদুল কাদের এর নেতৃত্বাধীন ইসলামী যুব শিবির একীভূত হয়ে আলেম-ওলামা,দ্বীনদার বুদ্ধিজীবি ও ইসলামী চিন্তাবিদদের সমন্বয়ে গঠিত হয় খেলাফত মজলিস।
এ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন আমীর ছিলেন প্রখ্যাত মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা আবদুল গাফফার,মহাসচিব ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ভাষা সৈনিক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মাসউদ খাঁন এবং অভিভাবক পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক।
বর্তমানে আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ ইসহাক এবং মহাসচিব বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. আহমদ আবদুল কাদের।
নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ৯২ সালের বাবরী মসজিদ আন্দোলন, ফারাক্কা ও বরাক বাঁধ বিরোধী আন্দোলন, ৯৪ সালের নাস্তিক-মুরতাদ প্রতিরোধ আন্দোলন, ৯৬ সালের পার্বত্য চুক্তি বিরোধী আন্দোলন, ৯৭ সালের মুর্তি বিরোধী আন্দোলন, ফতোয়া বিরোধী রায় প্রতিরোধ আন্দোলন, নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, ২০১৩ সালের হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে ইসলাম বিদ্বেষি ব্লগার নাস্তিক বিরোধী আন্দোলন এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী আন্দোলনসহ প্রতিটি ন্যায্য আন্দোলন-সংগ্রামে খেলাফত মজলিস ছিলো সামনের কাতারে।
এছাড়াও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার জন্য দেশের সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং মুসলিম উম্মাহর বিরোধ-বিভেদের অবসান ও ইসলামী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টায় খেলাফত মজলিসের ভুমিকা প্রসংশনীয়।
আলহামদুলিল্লাহ! সকল বাঁধা ও প্রতিবন্ধকতাকে পরাজিত করে দেশের আলেম-ওলামা, দ্বীনদার বুদ্ধিজীবি ও ইসলামী চিন্তাবিদদের নেতৃত্বে একটি বিশ্বস্ত গণ-সংগঠন হিসেবে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে খেলাফত মজলিস।
আল্লাহ এই কাফেলা ও তার নেতাকর্মী দের কবুল করুন।
সবাইকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।
Leave a Reply