নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামি ইমাম হোসেনকে মামলা গ্রহনের এক ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আসামী মো. ইমাম হোসাইন (৩০) কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানার মেছেড়া পশ্চিমপাড়া এলাকার মো. নাজিম উদ্দিন ও হাজেরা খাতুন দম্পতির ছেলে।
জানা যায় কিশোরগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, পিপিএম (বার)’র তাৎক্ষনিক দিক- নির্দেশনায় হোসেনপুর থানার একটি চৌকস টিম অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু’র নেতৃত্বে মামলাটি রুজুর পরপরই থানার পুলিশ আসামি গ্রেফতারে সর্বাত্মক তৎপর হয় এবং এজাহারনামীয় আসামী মসজিদের ইমাম মো. ইমাম হোসাইন (৩০) কে এক ঘন্টার মধ্যে ২২ আগষ্ট বিকাল ২.৫০ ঘটিকায় হোসেনপুর থানার দক্ষিণ মাধখলা এলাকা হতে স্থানীয় জনগনের সহযোগিতায় গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানা এলাকায় একটি মসজিদের ইমাম কর্তৃক। গত ২০ আগষ্ট সকাল অনুমান ৬.০০ ঘটিকার সময় প্রতিদিনের ন্যায় সাত বছরের কন্যা শিশু মসজিদের মক্তবে আরবি পড়তে গেলে আসামী মো. ইমাম হোসাইন তার কাম- লালসা চরিতার্থ করার জন্য কন্যা শিশুকে ফুসলিয়ে সকাল অনুমান ৭.০০ ঘটিকার সময় মসজিদের বারান্দার রুমে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন শিশুটি চিৎকার করলে মো. ইমাম হোসাইন (৩০) শিশুটির মুখ চেপে ধরে এবং ধর্ষণের চেষ্টার বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ভয়-ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়।
পরবর্তীতে আবার ২২ আগষ্ট সকালবেলা কন্যা শিশুটি মসজিদের মক্তবে আরবি পড়তে গেলে মসজিদের ইমাম মোঃ ইমাম হোসাইন (৩০) পুনরায় শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং কাউকে কিছু না বলার জন্য আবারও ভয়ভীতি দেখাইলে শিশুটি বাড়িতে গিয়ে ভয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে এবং ঘটনাটি তার মাকে জানায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় একটি ধর্ষণ চেষ্টা মামলা (মামলা নং- ০৮, তারিখ- ২২/০৮/২০২৩ খ্রি. নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী-২০২০) এর ৯(৪)(খ) ধারা) দায়ের করেন।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিরস্ত্র) মো. হাবিবুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সততা স্বীকার করেন।
গ্রেফতারকৃত এজাহারনামীয় আসামী মো. ইমাম হোসাইন (৩০) কে বিধি মোতাবেক আজ ২৩ আগষ্ট বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
Leave a Reply