বিশেষ প্রতিনিধিঃ
অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিরোধ, মামলা কমিয়ে আনাসহ রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল রাখার মধ্য দিয়ে ইতোমধ্যে নিজের পেশাদারিত্বের দায়িত্বশীল পরিচয় দিয়েছেন নাহিদ হাসান সুমন। যিনি বর্তমানে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।
গত ৩ এপ্রিল এ থানায় তিনি অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এর মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় নিজের কর্ম দক্ষতা ও আন্তরিকতার মধ্য দিয়ে তিনি সাধারণ মানুষের আস্তা কুড়িয়েছেন। থানায় সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ তার ব্যবহার এবং সেবায় সন্তোষ্টি প্রকাশ করছেন।
জানা গেছে, ভূগোলিক অবস্থান ও রাজনৈতিক বিবেচনায় কিশোরগঞ্জের মধ্যে পাকুন্দিয়া থানা একটি গুরুত্বপূর্ণ থানা। এ থানার অন্তর্গত লোকজন রাজনীতি সচেতন। পাশাপাশি আন্তঃজেলাগুলোর সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ খুবই মসৃণ। সরকারি দলের লবিং, গ্রæপিং, পাল্টাপাল্টি সমাবেশ, সংঘর্ষের কারণে প্রায়ই এ উপজেলা সংবাদ শিরোনাম হয়। যে কোনো জাতীয় দিবসে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচীর কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যেমন ব্যতিব্যস্ত থাকেন তেমনি সাধারণ লোকজন থাকেন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়।
কিন্তু নাহিদ হাসান সুমন এ থানায় যোগদানের পর বেশকটি রাজনৈতিক কর্মসূচী শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সবশেষ গত ১৫আগস্ট উদযাপনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ছিল পাকুন্দিয়ার রাজনৈতিক পরিবেশ। জাতীয় এ দিবসটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। এজন্য সাধারণ মানুষসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ওসি নাহিদ হাসান সুমনকে মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এছাড়াও চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিরোধসহ মাদক নির্মূলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন নাহিদ হাসান সুমন। তার দায়িত্বগ্রহণের পাঁচ মাসে মাদক, চুরি, ছিনতাই মামলায় অনেকটাই কমে গেছে বলে জানা গেছে।
থানায় সেবা নিতে আসা সৈয়দুজ্জামান সৈয়দ নামের একজন তার ফেসবুক আইডিতে ওসির সেবা পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, থানায় সেবা নিতে আসা লোকজনের সাথে খুবই ভাল ব্যবহার করেন ওসি নাহিদ হাসান সুমন। তার ব্যবহার এবং সুপরামর্শে অনেকেই উপকৃত হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানার ওসি নাহিদ হাসান সুমন বলেন, এ থানায় ওসি হিসেবে যোগদানের আগে আমি একই থানায় ওসি (তদন্ত) হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছি। এজন্য ওসি হিসেবে কাজ করা আমার জন্য সহজ হয়েছে। কেননা আমি দীর্ঘ এই সময়ে মানুষের কাছে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছি। তাদের সমস্যা কোথায়, কিভাবে সমাধান করতে হবে তা করতে পারছি। এক কথায় মানুষ সেবা নিতে থানায় আসে, তাদেরকে সর্বোচ্চ সেবা প্রদানই আমার লক্ষ্য।
Leave a Reply